উত্তর দিনাজপুরের হেরিটেজ পুস্তকে বাদ পড়ল ইসলামপুর, আশ্বাসের প্রলেপ প্রশাসনের
দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, ফালাকাটা, ১১ই জুন, ২০১৮: রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রীর উত্তর দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী বিষয়ক পুস্তকের প্রকাশে ব্রাত্য ইসলামপুর মহকুমা। প্রকাশিত পুস্তকে অধিকাংশই জুড়ে রয়েছে জেলা সদর মহকুমা রায়গঞ্জ। পাশাপাশি পুস্তক প্রকাশে আমন্ত্রণ পাননি জেলার প্রখ্যাত পুরাতত্ত্ববিদ ডঃ বৃন্দাবন ঘোষ। এনিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ ছড়িয়েছে ইসলামপুর মহকুমা জুড়ে। যদিও বাদ পড়ে যাওয়া ঐতিহাসিক বিষয়বস্তুগুলিকে দ্বিতীয় এডিশনে যুক্ত করা হবে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার ইসলামপুরের বিবেকানন্দ সভাগৃহে “উত্তর দিনাজপুর দি ক্রেডেল অফ এথনিক হেরিটেজ “নামক পুস্তকের উদ্বোধন করেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এছাড়াও এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানী, জেলাশাসক আয়েশা রানী, ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল সহ অন্যান্যরাও। জেলা প্রশাসনের প্রকাশিত পুস্তকে জেলার বিখ্যাত কুলিক পক্ষী নিবাস, কুলিক ফরেস্ট, তুলাইপঞ্জি চাল, ইসলামপুরের একদা তৃণমূল বিধায়কের পিতৃক সম্পত্তিকে হেরিটেজ ঘোষণা বা পুস্তকে স্থান পেলেও ইসলামপুরের সৃষ্টি বিজরিত সোনাখোদা মসজিদের উল্লেখ নেই। এছাড়াও ইসলামপুরের মাদুর শিল্প, পান চাষ, গোয়ালপোখরের দোহাবাড়ি জামা মসজিদ, মোঘল আমলের হাতকাটা মসজিদ, অসুরাগর এর রাজার দুর্গ, ইব্রাহিমপুরের ৪০০ বছরের পুরনো জমিদার বাড়ি সহ একাধিক ঐতিহাসিক বিষয়বস্তুর উল্লেখ না থাকায় ক্ষুব্ধ ইসলামপুর মহকুমাবাসী। জেলার প্রখ্যাত পুরাতত্ত্ববিদ ডঃ বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, আমি আমন্ত্রণ কিছু পাইনি তবে যে বইটি প্রকাশিত হয়েছে সেই বইয়ের অনেক ছবি ও তথ্য সংগ্রহে আমি জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছিলাম। ইসলামপুর মহকুমায় প্রচুর ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে সেগুলিও বইয়ে থাকা উচিত ছিল। আমন্ত্রণ পাওয়া না পাওয়াটা বড় বিষয় নয়। হেরিটেজগুলির রক্ষনাবেক্ষন ভালো করে হোক আন্তরিকভাবে আমি এটাই চাই। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ও জেলাশাসক আয়েশা রানী বলেন, বাদ পড়ে যাওয়া ঐতিহাসিক বিষয়বস্তু আগামী এডিশনে যুক্ত করা হবে।
ছবি: অরুনাংশু মৈত্র (টি.এন.আই)