ডাক সেবকদের লাগাতার ধর্মঘটের জেরে মেখলীগঞ্জে ডাক পরিষেবা ব্যাহত
স্বপন রায় বীর (টী.এন.আই মেখলীগঞ্জ) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, মেখলীগঞ্জ, ২৫শে মে, ২০১৮: ভারতীয় ডাক বিভাগের গ্রামীণ ডাক সেবক দের বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাসের দাবিতে সারা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কুচবিহার সর্বত্র যেমন চলছে ধর্মঘট তেমন মঙ্গলবার থেকে কুচবিহারে মেখলীগঞ্জে ধর্মঘট শুরু করল গ্রামীণ পোস্ট অফিসের কর্মীরা। কোচবিহার হেড পোস্ট অফিসের মূল গেটের বাইরে ধর্মঘটে সামিল ডাক কর্মীরা, মেখলীগঞ্জের বিভিন্ন পোস্ট অফিস চত্তরে একই ভাবে চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। মেখলিগঞ্জের শহর, কুচলিবাড়ি, ধাপরা, চ্যাংড়াবান্ধা, জামালদহ সব ছোট বড় পোস্ট অফিস বন্ধ রেখে বিক্ষোভে চালিয়ে যাচ্ছে কর্মীরা৷ বিক্ষোভে তারা তাঁদের বিভিন্ন দাবিদাবা নিয়ে সোচ্চার হন। গ্রামীণ ডাক সেবকদের জন্য গঠিত বেতন ভাতা চাকুরির শর্তাবলী সম্পর্কিত “কমলেশ চন্দ্র কমিটির” সুপারিশ দ্রুত লাগু করার দাবিকে সামনে রেখে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। সব আন্দোলনকারীদের অভিযোগ “তাদের বেতন গড়ে ৮-১০ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু যারা ২৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পান তাদের পে-কমিশন কেন্দ্র সরকার দিয়েছে। কিন্তু তাদের মোট গ্রামীণ পোস্ট অফিস কর্মীদের নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো তৈরি করেনি। অল ইণ্ডিয়া পোস্টাল ইউনিয়ান গ্রুপ সি-র সাধারণ সম্পাদক শ্রী ধনঞ্জয় দাস সংবাদ মধ্যমে কে জানিয়েছেন “২০১৬ এর ১লা জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় দফতরের সমস্ত কর্মচারীরা পে-কমিশন পেয়েছে। কিন্তু জিডিএস কর্মীরা ২৪ নভেম্বর ২০১৬ তে পে-কমিশনের রিপোর্ট পেশ করার পরও তা এখনও লাগু করা হয়নি। দিনের পর দিন এইভাবে জিডিএস কর্মীরা উপেক্ষিত, বঞ্চিত, শোষিত হচ্ছে। তাদের বেতন গড়ে ৭-৮ হাজার টাকা। এই পরিস্থিতিতে আমরা বাধ্য হয়েছি ধর্মঘটের পথে যেতে। তাই সারা দেশ ব্যাপী লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।” মেখলীগঞ্জের পোস্ট অফিস গুলোতে এই ধর্মঘটের দাপডে সমস্যার মধ্যে পড়েছেন বহু গ্রাহক৷ মেখলিগঞ্জ শহরবাসী এবং গ্রামীণ এলাকার বহু মানূষ জানান -“ধর্মঘটের মুখে আমরা চিটি পত্র আদান প্রদান সহ সেভিংস অ্যাকাউন্ট এর টাকা তোলা ও জমা দিতে পারছিনা। সমস্যা কবে মিটবে তা নিয়ে চিন্তিত অনেকেই৷ সব মিলিয়ে প্রশ্ন, গ্রামীণ ডাক সেবকদের এই ধর্মঘট কবে বন্ধ হবে? কবে সাভাবিক হবে পরিষেবা, তা নিয়ে প্রশ্ন সবমহলে।
ছবিঃ স্বপন রায় বীর (টী.এন.আই)