মেখলীগঞ্জে ছিট বাসিন্দাদের ভোটের জন্যে শাসক দলের হুমকি, অস্বীকার তৃনমূলের
স্বপন রায় বীর (টী.এন.আই মেখলীগঞ্জ) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, মেখলীগঞ্জ, ১লা মে, ২০১৮: ওরা নবাগত ভারতীয়, বিভক্ত ভারত – বাংলাদেশের ছিট মহলের কষ্ট অবসান ঘটে ২০১৫ সালে৷ ঐতিহাসিক ছিট বিনিময় চুক্তি কার্যকর হয় দুই দেশের মধ্যেই, তখন থেকে কুচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের ভোটবাড়ি এবং হলদিবাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্প বানিয়ে বসবাস করছেন এই নবাগত ভারতীয়রা৷ রাজ্যে বাজছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা৷ শাসক বনাম বিজেপি রণক্ষত্রে ঠিক যখন উত্তপ্ত রাজ্য, ঠিক তখনই নবাগত ভারতীয় দের কাছে পঞ্চায়েত ভোটের আঁচড় পরে৷ নির্ভীক আর নিরপেক্ষ অবস্থানে শেষমেষ থাকতে পারল না তারা৷ সূত্রের খবর ২০১৫ সালের পর থেকে সরকারি সব রকমের সুবিধা নিয়ে নানা অভিযোগ তোলেন নবাগত ভারতীয়রা৷ শৌচাগার, পানীয় জল এবং মূল সমস্যা আবাস স্থলের স্থানান্তর প্রভৃতি একাধিক সমস্যার অভিযোগ সামনে আসে৷ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগের মুহূর্তে কি ঘটছে এই নতুন ভারতীয়দের জীবনে? জানা যায়, মোট ১৩১ টি ভোটার নিয়ে মেখলীগঞ্জের ভোটবাড়ি এলাকার মধ্যেই অস্থায়ী ক্যাম্পে বাস করছে এই নব্য ভারতীয়রা আর এই ১৩১টি ভোট নিয়ে চলছে কারাকারি। কার দখলে যাবে এই ভোট সেটাই এখন বড় প্রশ্ন৷ সূত্রের খবর, দুই দিন আগেই তৃনমূলের প্রতিনিধিরা অস্থায়ী শিবিরে ভোট প্রচারে আসেন৷ বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট প্রচারে অস্থায়ী শিবিরের ভোটারদের ১৩১টি ভোট দিতেই হবে বলেও শাসানি দেয়। তারা বলেন শাসক দলে ভোট না দিলে বাইরে কাউকে বেরোতে দেওয়া হবে না। যে কোন সরকারি সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে। এমন হুঁশিয়ারি দেন মেখলিগঞ্জ তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের আরও অভিযোগ শাসক দলের লোকেরা হুঁশিয়ারি দেন এবং জোর করে অস্থায়ী ঘর গুলোতে শাসক দলের পতাকা লাগিয়ে দেন। ওখানকার নবাগতরা আরও জানান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এর পক্ষ থেকে যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এতে তারা আতঙ্কিত, আর যার ফলেই তারা বিজেপি দলে যোগ দেন৷ ইতিমধ্যেই সভা করে বিজেপি দলেই যোগদেন নবাগত ভারতীয়রা৷ এই বিষয়ে মেখলীগঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক কনভেনর শ্রী উদয় রায় জানান “হুঁশিয়ারি নয় সরকার নব ভারতীয়দের সব রকমের সুবিধা এবং সমস্যার জন্য সরকার প্রস্তুত”। যদিও অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে তিনি জানান রাজ্য সরকার সব রকমের সাহয্য করছে অস্থায়ী ক্যাম্পে থাকা নব ভারতীয়দের, তাদের হতাশার কোন কারণ নেই। ওখানে বিজেপি নেতারা ভূল বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে”৷ একই কথা জানান তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্রী লক্ষীকান্ত সরকার৷ তিনি জানান তারা শাসকদলের কাছেই থাকবেন বলে তিনি আসাবাদী, অন্য দিকে, বিজেপি নেতা শ্রী দধিরাম রায় জানান “নব ভারতীয়দের শাসক দল যেভাবে ভোট প্রচারে এসে হুমকি দিচ্ছে তাতে তারা আতঙ্কে আছেন। এখানকার মানুষ বুঝতে পেরেছেন তাই আজ বিজেপি দলের সাথে কাজ করছেন”৷
ছবিঃ স্বপন রায় বীর (টী.এন.আই)