ইসলামপুরের আমবাগানে প্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান ও অ্যাম্বুল্যান্স চালকের মধ্যে মারপিঠ
দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ইসলামপুর ২৮শে এপ্রিল, ২০১৮: শুক্রবার গভীর রাতে এম্বুলেন্স চালক ও প্যাথল্যাব টেকনিশিয়ানের মারপিঠের ঘটনায় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্তরে উত্তেজনা ছড়ালো। জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে এক প্যাথল্যাব টেকনিশিয়ানকে ইসলামপুরের আমবাগান কলোনী এলাকায় পথ আটকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে লায়ন্স ক্লাবের অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে। প্যাথল্যাব টেকনিশিয়ানের অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশকে ফোনে জানালে পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে যাবার পরামর্শ দেয়। সেইমত সেই প্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করালে। তাঁকে ফের হাসপাতাল চত্বরেই মারধর করে ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালক বলে অভিযোগ। এদিকে অ্যাম্বুল্যান্স চালকের অভিযোগ, গতকাল রাতে হাসপাতাল চত্তরে অ্যাম্বুল্যান্স রাখতে আসলে ওই প্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান হাসপাতালের চা দোকানিদের সাথে মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। অ্যাম্বুল্যান্স ভাঙচুর করে তাঁর গলায় থাকা সোনার চেন ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ওই এম্বুলেন্স চালক ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে ঘটনার বিষয়ে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার কোনও মন্তব্য করতে আপত্তি জানিয়েছেন। অ্যাম্বুল্যান্স চালক গোপাল ওরফে মঈনুদ্দিন বলেন, হাসপাতালের চা দোকানির একটা পুরানো মামলায় আমি জামিন পেয়ে গাড়ি রাখতে এসেছিলাম। কিন্তু আমি কেন জামিন পেলাম সেই রাগে চা দোকানি হাসিম, প্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান পজির’রা দলবল মিলে আমাকে মারধর করে আমার গলার সোনার চেন ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আমার অ্যাম্বুল্যান্স ভাঙচুর করেছে। প্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান মহম্মদ পজির বলেন, গোপাল ওরফে মঈনুদ্দিন আমবাগান কলোনির রাস্তায় আটকে আমাকে মারধর করে। আমি পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশের পরামর্শে আমি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসলে গোপাল ওর অ্যাম্বুল্যান্স নিজেই ভাঙচুর করে আমাকে ফের মারধর করে। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার নারায়ন মিদা বলেন, আমরা অবিলম্বে হাসপাতাল চত্তরে একটি ক্যান্টিন খোলার পরিকল্পনা নিয়েছি। সেবিষয়ে আলোচনা চলছে তাহলে এই ধরণের সমস্যার সমাধান হবে।
ছবিঃ দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই)