কলকাতার মরা-পচা মুরগী কাণ্ডের জেরে উদ্বিগ্ন শিলিগুড়ির ক্রেতা বিক্রেতারা
আর. সুব্রত (টী.এন.আই শিলিগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই শিলিগুড়ি ২৭শে এপ্রিল, ২০১৮: কলকাতায় মরা পচা মুরগী ও ভাগারের মাংসর কাড়বার ধরা পরায় উদ্বিগ্ন শিলিগুড়ির মাংস বিক্রেতা ও ক্রেতারা। একদিকে টিভি চ্যানেলে বার বার করে দেখিয়ে চলেছে পচা ও মরা মুরগীর মাংস বিক্রির রমরমা ব্যাবসার কথা এবং তাদের সঙ্গে অভিজাত রেস্তরার নাম ও ঠিকানা। এই খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ি বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মধ্যে। শহরের বিধান মার্কেটের মুরগী পট্টীতে গত কয়েক দিনে মুরগীর চাহিদা না কমলেও আশঙ্কায় দিন কাটছে বিক্রেতাদের। মাংস বিক্রেতা মহঃ ইউনুস বলছেন “এখনো তেমন কোন চাহিদার ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না জ্যান্ত মুরগীর মাংস বিক্রিতে তবে কাটা মুরগীর মাংসর চাহিদা কমেছে। জলপাই মোড় বাজারেও চেহারাটা একই। এদিকে শিলিগুড়ি সুভাষপল্লী বাজারে খোঁজ করে দেখা গেল বিক্রেতারা বলছে যে এই বাজারে তেমন কাটা মুরগীর চাহিদা না থাকাতে তেমন প্রভাব পড়েনি। ভারতনগরের গৃহকর্তী শ্রীমতী তপতী সাহা টি.এন.আই কে জানান “টিভি খুললেই পচা গলা মাংস বিক্রির কথা শোনা যাচ্ছে। আপাতত মুরগী খাওয়া কয়েকদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত রেখেছি। পরে দেখা যাবে”। তবে সবচেয়ে চিন্তায় পড়েছেন শিলিগুড়ির রেস্তরা ব্যাবসায়ীরা। পরিচয় গোপন রেখে সেভক রোডের এক রেস্তরা মালিক টি.এন.আই কে বলেন যে গত ৩ দিনে তার অভিজাত রেস্তরায় চিকেন ও মাটনের অর্ডার কমে গেছে। তবে সেটা কলকাতার মরা পচা মুরগী কাণ্ডের জের কিনা এখনো বলা যাচ্ছে না। শিলিগুড়ি কলেজপাড়ায় স্ট্রিট ফুড কাউন্টার মালিকরা এই ব্যাপারে কথা বলতে না চাইলেও তাদের দোকানে ননভেজ আইটেমের চাহিদায় যে টান পড়েছে তা ফাঁকা স্টলগুলো দেখলেই কিছুটা বোঝা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে কলেজ পড়ুয়া সোমা দে জানান “এখন কয়েকদিন বাড়ির নন ভেজের ওপর থাকলে কোন ক্ষতি নেই। পরে ভাবা যাবে”। মোটের ওপর কলকাতায় মরা পচা মুরগী কাণ্ডের জেরে যে শিলিগুড়ির মাংসাশী জনতা একটু উদ্বিগ্ন সেটা বলাই বাহুল্য। এবার দেখার শিলিগুড়ির প্রশাসন এই উদ্বেগের থেকে রেহাই দিতে কি পদক্ষেপ নেয়।
ছবিঃ সংবাদ চিত্র