অসহায় বৃদ্ধ, একমাত্র ছেলে ও বৌমা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, সাহায্যের আর্তি
সোমনাথ চক্রবর্তী (টী.এন.আই ময়নাগুরি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ময়নাগুরি ২৬শে এপ্রিল, ২০১৮: ময়নাগুরি ব্লকের মাধবডাঙ্গা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দরিদ্র পরিবারের বৃদ্ধ সদস্য শ্রী হরিদাস সূত্রধর। পেশায় তিনি একজন কাঠমিস্ত্রি। হরিদাস সূত্রধর বলেন ২০১৫ সালে ডিসেম্বর মাসে একটা বাইক দুর্ঘটনায় গুরুত্বর জখম হন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী পুত্র পল্লব সূত্রধর। সেই সময় তাকে জলপাইগুড়ি হাসপাতাল থেকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসায় সেই রকম সাড়া না পাওয়ায় তাকে বাইরে কোন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু পল্লব সূত্রধর এতটাই গুরুত্বর জখম ছিলেন তাকে বাইরের কোন হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পারায় তাকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা পল্লব সূত্রধর কে দেখে তার চিকিৎসা শুরু করে। তবে তার চোট এতটাই ভয়াবহ ছিলো যে তাকে মস্তিষ্কের অপারেশন করার পরেও সে রকম সাড়া না মেলায় এককথায় তিনি কোমায় চলে যায়। দীর্ঘ কয়েক মাস নার্সিংহোমে থাকার পরে নার্সিংহোমের চিকিৎসার বিশাল অঙ্কের খরচে পল্লব সূত্রধরের বৃদ্ধ পিতা হরিদাস সূত্রধর আর্থিক সমস্যায় পড়ে যান। নার্সিংহোমের কয়েক মাসের খরচ বাবদ ১৩লক্ষ টাকা কিভাবে মেটাবেন চিন্তায় মাথায় হাত। এই অবস্থায় বাড়ির ভিটে মাটি বিক্রি করেও সমষ্যা না মেটায় বাইরে মানুষের কাছে টাকা ধার নিতে হয় তাকে। পল্লব সূত্রধর পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে আসে। তবে কয়েক মাস বাদে আবার তার বিভিন্ন সমষ্যা দেখা দেয় নতুন করে। যার জন্য বর্তমানে আবার নার্সিং হোমেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন পল্লব সূত্রধর। এই অবস্থায় আরও এক অন্য সমস্যায় পড়ল পরিবারটি। পল্লব সূত্রধরের স্ত্রী প্রিয়া সূত্রধরের ক্যানসার ধরা পরে। এবং সে এখন মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন হতদরিদ্র হরিদাস সূত্রধর ছেলের এবং বৌমার চিকিৎসা কি ভাবে করাবেন সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না। তাই সকল স্তরের মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। কোন সহৃদয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি তাকে সাহায্য করে তাহলে হয়তো ছেলে এবং বৌমাকে বাচানো সম্ভব হবে।
ছবিঃ সোমনাথ চক্রবর্তী (টি.এন.আই)