অল্প বৃষ্টিতেই ফালাকাটা হাট বেহাল – ব্যবসা করা দায় হয়ে পড়েছে ব্যাবসায়ীদের
অরুনাংশু মৈত্র (টী.এন.আই ফালাকাটা) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ফালাকাটা ১১ই এপ্রিল, ২০১৮: আধঘন্টার বৃষ্টিতে ডুবে গেল ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ফালাকাটার হাট। বুধবার সকালে আধঘন্টার বৃষ্টিতে জলে থইথই করছে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ফালাকাটার হাট। জলে ডুবে গেছে প্রচুর জিনিস, জলে ডুবে ভিজে নষ্ট হয়েছে প্রচুর দামী দামী মালপত্র। ফালাকাটার হাটের নিকাশি ব্যাবস্থা নেই। চুরি হয়ে গেছে ফালাকাটার লাইফলাইন মূজনাই নদী ও সাপটানা নদী। এই নদীতেই গিয়ে মিসাতো ফালাকাটার হাট সহ ফালাকাটার বিভিন্ন এলাকার জল। কিন্তু এই নদীগুলো দখল করে তার উপর তৈরি হয়েছে কংক্রিটের অট্টালিকা। বসবাস থেকে শুরু করে ব্যাবসা সবই হচ্ছে নদী দখল করে। ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ফালাকাটার হাটটি জেলা পরিষদের দ্বারা পরিচালিত। এখান থেকে নিয়মিত খাজনা আদায় হয়, কিন্তু সংস্কার হয়না। জেলা ভাগের আগে এই ফালাকাটার হাটটি জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের অধীন ছিল। এখন হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের অধীন। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের থাকাকালীন কোন সংস্কার হয়নি। জেলা ভাগের পর হাট ব্যাবসায়ীরা ভেবেছিল এখন কিছু হবে, কিন্তু যেইকি সেই। ফালাকাটার হাটের নিকাশি নালা না থাকার জন্য ও হাটের উত্বিত্ত জিনিস ফেলার জায়গা না থাকার জন্য সারা বছরই ফালাকাটার হাট নরক কুন্ড হয়ে থাকে। ফালাকাটার হাটে জিনিস কিনতে যাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পরেছে বলে অভিযোগ হাট ব্যাবসায়ী সহ ক্রেতাদের। ফালাকাটার হাট ব্যাবসায়ী শ্রী মনা বল, শ্রী ষষ্টি পাল, শ্রী রাজু সরকার প্রমুখরা বলেন, এই অল্প বৃষ্টিতেই এই অবস্থা। বর্ষাকালে আমরা এখানে আর ব্যাবসাই করতে পারবো না। এখনই প্রায় জলের তলায়। বর্ষায় কি অবস্থা হবো? নিয়মিত খাজনা নিয়ে যায় তারপর আর কারো দেখা মেলেনা। জেলা পরিষদের এই হাট এর সংস্কার এর কোন পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত জেলা পরিষদের কোন আধিকারিক, কর্মী ও কর্মাদক্ষের দেখা মেলেনি। আমরা সমস্ত মহলে জানিয়েছি কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। আমরা পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।
ছবিঃ অরুনাংশু মৈত্র (টি.এন.আই)