জটেশ্বরে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের
অরুনাংশু মৈত্র (টী.এন.আই ফালাকাটা) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ফালাকাটা ১লা এপ্রিল, ২০১৮: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শাসক-বিরোধী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। দলীয় সভায় যোগ দিতে রবিবার ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বরে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সকালে সভায় যাবার আগে ফালাকাটায় সকালে প্রাত ভ্রমণ করেন প্রচার করেন পরে ফালাকাটা মহাকাল ঠাকুর বাড়িতে পূজা দিয়ে ১১ টা নাগাদ জটেশ্বরের বিজেপির দপ্তর থেকে পায়ে হেঁটে স্থানীয় সুকান্ত ভবনে দলীয় সভায় যোগ দেন রাজ্য সভাপতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে রাজ্য থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাত করার বার্তা দেন তিনি। আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ওই সভায় যোগ দেন। বিজেপি নেতাদের দাবি, সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে কয়েকশো মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, দলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা সহ জেলার বিভিন্ন মন্ডলের নেতৃত্বরা। এদিনের সভা শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ বাবু। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিটি বুথে প্রার্থী দেবে বিজেপি।
দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে তিনি বলেন, যে কোনো রকম প্রতিরোধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। পঞ্চায়েত ভোটে বহিরাগতদের আটকানোর জন্য প্রতিটি বুথে দলীয় কর্মীরা থাকবেন। ভোটের সময় তৃণমূল উত্তেজনা সৃষ্টি হলে রুখে দাঁড়াবে কর্মী সমর্থকরা। তৃণমূল কংগ্রেসকে হুশিয়ারি দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে হসপিটালে পাঠানো হবে। তার অভিযোগ, রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন মিলে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করেছে। বিরোধীরা যেন নির্বাচনী প্রচার করতে না পারে তার জন্য এভাবে তড়িঘড়ি ভোটের দিন ঠিক করা হয়েছে। কোর্টের রায় অনুসারে পরীক্ষা চলাকালীন এভাবে নির্বাচন ঘোষণা করা যায়না। এর পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার অভিযোগ, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ স্কুলগুলোর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। প্রায় ৮৯ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করা হয়েছে। প্রায় ৯৫ টি স্কুলের নাম তালিকায় থাকলেও একটিতেও কোনো কাজ হয়নি। দিলীপ ঘোষ এদিন প্রশ্ন তোলেন, টাকাগুলো গেলো কোথায়? বিজেপি বিধায়ক দিলীপবাবু এদিন বলেন, রাজ্য সরকার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার দল ভালো ফল করবে বলে আশাবাদী বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
ছবিঃ অরুণাংশু মৈত্র (টি.এন.আই)