ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পনের দাবিতে মেখলীগঞ্জের বধূকে নির্যাতনের অভিযোগ
স্বপন রায় বীর (টী.এন.আই মেখলীগঞ্জ) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই মেখলীগঞ্জ ১৪ই মার্চ ২০১৮: ফের পনের দাবিতে স্ত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে গৃহবন্দী করে রাখার অভিযোগ উঠলো৷ অভিযোগ কারিণী গৃহবধূর বাড়ি মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি এলাকায়, আর বরের বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি৷ জানা যায় বিয়ের পর পণের দাবীতে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের শিকার আম্বিয়া খাতুন নামে এক গৃহ বধু। সেই অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে যায় গত ১২ তারিখ, নিজের স্বামী স্ত্রীকে মারার জন্য ব্যাপক প্রহার করে।অভিযোগ, পাথর, লোহার রদ, বাটাম দিয়ে থেতলে দেয় শরীর। হাত ভাঙ্গা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রয়েছে। এরকম অবস্থায় হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠে স্বামীর বিরূদ্ধে। স্থানীয়দের দ্বারা পরের দিন খবর পেয়ে মেয়েটির পরিবার ময়নাগুড়ি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখান থেকে রেফার করে গতকাল মেখলীগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে মেখলীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গৃহবধূর অভিযোগ, পণ ও তার স্বামীর বিবাহ বহিঃভূত সম্পর্কের জেরে এরকম নির্যাতন চালাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু এতদিন সব সহ্য করে ছিলেন তার ছয় বছরের শিশুপুত্রের মুখ দেখে। অত্যাচারের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় পুলিশের দারস্থ হয়েছেন বলে জানান। জানা যায়, মেখলীগঞ্জের কুচলিবাড়ী নিবাসী আম্বিয়া খাতুনের সঙ্গে ৮ বছর আগে বিয়ে হয় জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির শিঙ্গিমারি এলাকার আবদুল কায়ুম আলামের সঙ্গে। বিয়ের তিন বছর পর পরেই অধিক পণের দাবী করতে থাকে স্বামী। মেয়েটির পরিবার সাধ্যমত পণ দেওয়ার পর শেষমেশ না করে দেওয়ায় শুরু হয় নির্যাতন। অভিযোগ, পণ না পাওয়ায় পরে স্বামী অন্য একটি প্রাথমিক শিক্ষিকার সঙ্গে প্রেমে জড়ায়।
ছবিঃ স্বপন রায় বীর (টী.এন.আই)