প্রাইভেট গাড়ি দিয়েই বে-আইনি ভাবে ফালাকাটায় স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের আনা নেওয়া চলছে
অরুনাংশু মৈত্র (টী.এন.আই ফালাকাটা) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ফালাকাটা ২২শে ফেব্রুয়ারি ২০১৮: পরিবহন আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ও ছোট ছোট শিশুদের জীবনের তোয়াক্কা না করে ফালাকাটা ব্লক জুড়ে দাপিয়ে ভাড়া খাটছে প্রাইভেট নম্বরের গাড়ি। প্রশাসনিক উদাসীনতায় এই ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন মহলে। ফালাকাটা ব্লক জুড়ে প্রায় বেশিরভাগ বেসরকারি স্কুলের ছাত্র ছাত্রী বহন করছে প্রাইভেট নম্বরের গাড়ি। নিয়ম ও আইন অনুযায়ী কোন স্কুলের ছাত্র ছাত্রী বহন করতে গেলে সেই সব গাড়ি হতে হবে হলুদ রংয়ের কমার্শিয়াল নম্বরে পুলকরা রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি। এসব তো আইনের কথা, আইন নিয়ম কানুনকে কে পাত্তা দেয়? আর একটু বেশি পয়সা দিয়ে কেনইবা হলুদ রংয়ের কমার্শিয়াল নম্বরে পুলকরা রেজিস্ট্রেশন করাব? ছাত্র ছাত্রীর দুর্ঘটনায় পড়লে বীমা পাবেনা তাতে স্কুল গুলোর কি যায় আসে। স্কুলের মুনাফা হলেই হলো বলে অভিযোগ অবিভাবকদের। এর ফলে একদিকে যেমন সরকারি কোষাগারের ক্ষতি হচ্ছে অপর দিকে খুদে স্কুল পড়ুয়াদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে এবং এর ফলে কমার্শিয়াল নম্বরে রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ির মালিকরা ক্ষতির মুখে পড়ছে। এতে গতিধারার মতো সরকারী প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। এনিয়ে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি উঠেছে বিভিন মহলে। অবিভাবকরা বলেন, আমরা নিরুপায় হয়ে আমাদের সন্তানদের এই গাড়ি গুলোতে স্কুলে পাঠাতে হচ্ছে। আমরা স্কুলে মিলিত ভাবে ও আলাদা ভাবেও বলেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। স্কুল গুলো আমাদের কথা কানেই তুলেনি। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমদের সন্তান দেড় স্কুলে পাঠাতে হচ্ছে। এব্যপারে স্কুলগুলো মুখ খোলেনি। অভিযোগ শুধু স্কুল নয় বেশ কিছু ছোট পড়িবহন ব্যবসায়ী ভাড়া খাটছে প্রাইভেট নম্বরের গাড়ি। দিনের পর দিন প্রকাশ্য স্ট্যান্ডে প্রাইভেট নম্বরের গাড়ি দারকারি যাত্রী পড়িবহন করছে। আর এসবই হচ্ছে প্রশাসনের সামনেই অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে প্রাইভেট নম্বরের গাড়ি ভাড়া ধরছে এটা আদালতে প্রমান করা খুবই মুশকিল। আর প্রশাসনের এই দুর্বলতার সুযোগে প্রাইভেট গাড়িগুলি দেদার ভাড়া খাটছে। কমার্শিয়াল গাড়ির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রুটের পারমিট থাকে। এর বাইরে গেলে আলাদা করে পারমিট নিতে হয়। নইলে পরিবহন আইন অনুযায়ী জরিমানা হতে পারে। কিন্তু প্রাইভেট গাড়ির জন্য আলাদা করে পারমিট নিতে হয় না। গতিধারা প্রকল্পের গাড়ির ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট রুটে চলার পারমিট থাকে। এটা রোখা না গেলে আর গাড়ি বিক্রি হবে না বলেই কমার্শিয়াল গাড়ির মালিকরা মনে করেন। প্রাইভেট গাড়িগুলি অবাধেই বিভিন্ন রুটের ভাড়া ধরছে। এতে কমার্শিয়াল গাড়ির লাইসেন্স নিতে নতুন করে কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছে না ।এবিষয়ে আই.এন.টি.টি.ইউ.সি র ফালাকাটা ব্লক সভাপতি অশোক সাহা বলেন, আইনত প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া ধরতে পারে না। কিন্তু তারা এখানে ভাড়া ধরছে। এতে কমার্শিয়াল গাড়ি মালিকদের ক্ষতি হচ্ছে। গতিধারা প্রকল্পে গাড়ি বিক্রি বাড়াতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে। এবিষয়ে আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। জেলা পড়িবহন দপ্তর জানায়, প্রাইভেট গাড়ি যাত্রী তুলে ভাড়া খাটাছে এটা আদালতে প্রমান করা মুশকিল। এক্ষেত্রে যাত্রীদের স্বীকারোক্তির প্রয়োজন হয়। গাড়ি ধরলে যাত্রীরা ভাড়ার কথা অস্বীকার করে। গতিধারা প্রকল্পের গাড়ি নিতে যুবক যুবতীদের আগ্রহ বাড়াতে আমরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রচার চালাচ্ছি।