চার বছর পরে হরিয়ানা থেকে উদ্ধার গোয়ালপোখরের মেয়ে
দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই গোয়ালপোখর ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০১৮: হারিয়ে যাওয়ার চার বছর পরে মেয়েকে ফিরে পেয়ে বেজায় খুশি গোয়ালপোখরের ফুরকানের পরিবার। ঘটনায় বিডিও রাজু শেরপার ভুমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোয়ালপোখরবাসী। জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর ব্লকের লোধন গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাড়বাড়ি কোনাবস্তির বাসিন্দা ফুরকানের মেয়ে ভাগলিন খাতুন চার বছর আগে কাজের উদ্দেশ্যে ভিন রাজ্যে যায়। হরিয়ানার কোনও এক রেলস্টেশনে নামার পর ভাগলিন খাতুনের স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যায়। নাম পরিচয় বলতে না পারার কারনে হরিয়ানা পুলিশ ভাগলিনকে হোমে পাঠিয়ে দেয়। হোমে দীর্ঘ চিকিৎসার ফলে তিন বছর পর স্মৃতিশক্তি ফিরে আসলে নাম পরিচয় হোম কর্তৃপক্ষকে জানায় ভাগলিন। এরপরই হোম কর্তৃপক্ষ ও হরিয়ানা পুলিশ ভাগলিনকে বাড়ি পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। গোয়ালপোখর বিডিও রাজু শেরপার সাথে হরিয়ানা পুলিশ যোগাযোগ করলে বিডিও ভাগলিনের খোঁজ শুরু করে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সহযোগিতায় ভাগলিন খাতুনের বাবা ফুরকানের খোঁজ পায় বিডিও। এরপর এদিন হরিয়ানা পুলিশ ও হোম কর্তৃপক্ষ ভাগলিন খাতুনকে গোয়ালপোখরের বিডিওর উপস্থিতিতে বাবা ফুরকানের হাতে মেয়ে ভাগলিন খাতুনকে তুলে দেওয়া হয়। ভাগলিন খাতুন বলেন, আমার অসুস্থতা কাটতেই অচেনা জায়গায় নিজেকে পেয়ে হোমের সবাইকে আমার নাম পরিচয় জানাই। এরপর হোম ও পুলিশের সহায়তায় আমি বাড়ি ফিরলাম। আমি খুবই খুশি। বাবা ফুরকান বলেন, আমি আমার হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে চার বছর পর খুঁজে পেয়ে খুব খুশি। এখন একটু মেয়ের সাথে সময় কাটাতে চাই আর বিডিও সহ হরিয়ানা পুলিশ ও হোমের লোকজনদের আমি হাতজোড় করে নমষ্কার জানাই। গোয়ালপোখরের বিডিও রাজু শেরপা বলেন, হরিয়ানা পুলিশ আমার সাথে যোগাযোগ করতেই আমি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সাহায্যে ভাগলিন খাতুনের বাবা ফুরকানের সাথে যোগাযোগ করি এবং আজকে ভাগলিনকে ওর বাবার হাতে তুলে দিই।
ছবিঃ দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই)