গঙ্গারামপুরে অপরাধের বিরুদ্ধে আগ্রাসী এবং সোচ্চার হবার ডাক মুখ্যমন্ত্রীর
দীপঙ্কর মিত্র (টী.এন.আই বালুরঘাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই গঙ্গারামপুর ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০১৮: অপরাধ প্রবন অনেক মানুষ আছে যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করছেন। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে মা বোনেদের। সম্প্রতি কুশমন্ডি দেহাবন্দ এলাকায় ধর্ষণ ও পাশবিক অত্যাচারের স্বীকার যুবতীর ঘটনাকে সামনে রেখে সকলকে রুখে দাড়ানোর কথা বলেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়। বারবার দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে পুলিশ ও চিকিৎসকদেরও হুশিয়ারি দেন তিনি। বর্তমানে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটির জন্য তাৎক্ষনিক ও স্থায়ী পদক্ষেপের বিষয়গুলি তুলে ধরেন মূখ্যমন্ত্রী। বুধবার মালদা থেকে হেলিকপ্টারে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে নামেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার সরকারী সভায় যোগ দিয়ে মূখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দুঃখিত যে এখানে একটি আদিবাসী মেয়ে নির্যাতিত হয়েছে। যে নির্যাতন করেছে সে গ্রেফতার হয়েছে। আমি মেয়েটিকে দেখতেও গিয়েছিলাম। সমস্ত খোঁজ খবর নিয়েছে। আমরা চাই সে ভালো ভাবে বেঁচে উঠে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। এদিকে সহায়সম্বলহীন মেয়েটি ভবঘুরে হওয়ায় তার স্থায়ী সুরক্ষার বিষয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্যাতিতাকে মাথার উপড় ছাদ ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার আশ্বাস দেন তিনি। ইতিমধ্যে মেয়েটির একাউন্টে ৪ লক্ষ ১২ হাজার টাকা সাহায্য দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের সমাজে কিছু কিছু এমন লোক আছে, জানিনা তারা কেন এমন কাজ করেন। তাদের অপরাধ রুখতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মা বোন, ছাত্র যুব, শ্রমিক কৃষকদের এগিয়ে আসতে হবে। এনিয়ে আরো সচেতনতা বৃদ্ধি করার কথা বলেন তিনি। তার কথায়, কন্যাশ্রি, যুবশ্রী, ছাত্রসাথী ছেলে মেয়েরা এগিয়ে আসুক। অন্যদিকে গণধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতনের স্বীকার যুবতীকে ব্রীজের নীচ থেকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করলেও প্রথমে অভিযোগ জমা নিতে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠেছিল কুশমন্ডি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনকি অস্ত্রপচারের পর মেয়েটিকে মালদা রেফার করে দেওয়া হয়েছিলো পরদিন। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সভামঞ্চ থেকেই পুলিশ ও চিকিৎসকদের সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া যাবেনা। নিজের দায়িত্ব নিজেকে পালন করতে হবে। পদক্ষেপ নিতে হবে সঙ্গে সঙ্গে। এরপর এই ব্যাপারে কোনো আপোষ করা যাবে না বলেই পুলিশ, প্রশাসন এবং চিকিৎসকদের সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বেলা দেড়টা নাগাদ গঙ্গারামপুর স্টেশনে নেমে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মরকে মাল্যদান করে শ্রদার্ঘ্য নিবেদন করেন। আবেগাভূত ভাবে মাতৃভাষার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। সেখানে শতাধিক প্রকল্পর শিলান্যাস উদ্বোধন করার পাশাপাশি নূতন কয়েকটি প্রকল্পর ঘোষণা করেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের বিশ্ব বিদ্যালয় তৈরির ঘোষণা এবং রাজ্য খন উৎসবের উদ্বোধন করেন মঞ্চ থেকেই। পাশাপাশি কেন্দ্রে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপি এমকে তুলোধুনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন হেলিকপ্টারে উত্তর দিনাজপুর যান তিনি।
ছবিঃ দীপঙ্কর মিত্র (টী.এন.আই)