পি.ও.এস মেশিন মেলেনি: ধুপগুড়িতে সাড় ব্যাবসায়ীদের চাপের মুখে কৃষি দফতর
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ধুপগুড়ি ১লা ফেব্রুয়ারি ২০১৮: বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্য জুড়ে কীটনাশক এবং রাসায়নিক সার ব্যবসায়ীদের বিক্রী হিসেব রাখার কথা ছিল পয়েন্ট অফ সেল যন্ত্রের মাধ্যমে। কিন্তু এখনো একাংশ ব্যবসায়ী এই পি.ও.এস যন্ত্র না পাওয়ায় বিপত্তি দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবসায়ীরা প্রতীকি ধর্মঘট পালন করছে।মূলত জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলা ও শিলিগুলি মিলিয়ে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। মূলত পি.ও.এস মেশিন সরবরাহ না থাকাতেই বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে। দুই জেলা এবং শিলিগুড়ির কীটনাশক, রাসায়নিক সার ব্যবসায়ীদের জলপাইগুড়ি জেলা থেকে পি.ও.এস মেশিন সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা মেশিন সরবরাহ করতে না পেরে ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীদের কাছে চাপের মুখে পড়ছেন। কৃষি বিভাগ সূত্রে খবর, তিনটি স্থান মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৬২০টি মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে।তবে কলকাতা থেকে ৬৩৩ টি মেশিন পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে কয়েকটি মেশিন বিকল ছিল। বাকী ৩-৪ টি মেশিন হাতে রয়েছে। এদিকে আলিপুরদুয়ার জেলায় ৩৭৫, জলপাইগুড়ি জেলা ও শিলিগুড়ি মিলিয়ে ৬১০ জন লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যবসায়ী রয়েছে। কিন্তু তিনটি স্থান মিলিয়ে মোট ৯৮৫ টি মেশিনের প্রয়োজন থাকলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬২০ টি মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে। এই মূহুর্তে ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (ডিবিটি) করতে গেলে পি.ও.এস মেশিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমদিন থেকেই পিওএস মেশিন দিয়ে ব্যবসায়ীরা কাজ শুরু করেছেন। এদিকে ধূপগুড়ি রাসায়নিক সাড় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শ্রী বাপ্পা পাল বলেন, অনেক ব্যবসায়ীই মেশিন পায় নি। কিন্তু পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকেই মেশিন দ্বারা ব্যবসা শুরুর কথা জানিয়েছে দপ্তর। এই মূহুর্তে অনেক সমস্যা রয়েছে।সবই কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, অনেক ব্যবসায়ী আবার অভিযোগ করেছেন, পিওএস মেশিনটি ইন্টারনেট দ্বারা চালিত হবে। কিন্তু অনেক গ্রামাঞ্চলেই ইন্টারনেট সমস্যা রয়েছে। এই সব সমস্যা মাথায় রেখেই প্রতিবাদ জানাতে বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবসায়ীরা প্রতীকি ধর্মঘট পালন করছে। উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার অধিকাংশ রাসায়নিক সারে ভর্তুকি দিয়ে থাকেন। কাগজে কলমে ব্যবসা চললে ভর্তুকি প্রাপ্ত সার আদতে কৃষকের কাছে যাচ্ছে নাকি অসাধু হাতে পড়ছে তা বোঝা যায় না। জলপাইগুড়ি জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) শ্রী প্রিয় নাথ দাস বলেন, উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন করে আরো ৬০০ পি.ও.এস মেশিন চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নতুন মেশিন আসলেই ব্যবসায়ীদের ডেকে সরবরাহ করে দেওয়া হবে।