এবার মিড ডে মিলের যাবতীয় তথ্য এখন থেকে জানাতে হবে অ্যাপে
পার্থ চ্যাটার্জি (টি.এন.আই রায়গঞ্জ) । টি.এন.আই সম্পাদনা বালুরঘাট
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, রায়গঞ্জ, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯: এতদিন রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলো এস এম এসের মাধ্যমে দৈনন্দিন মিড ডে মিলের আপডেট পাঠাতো। এখন শিক্ষা দপ্তর থেকে প্রত্যেক জেলা প্রশাসনের কাছে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে যে নির্দিষ্ট একটি অ্যাপসের মাধ্যমে প্রতিদিনের মধ্যাহ্নকালীন ভোজনের রিপোর্ট আপলোড করতে হবে স্কুলগুলিকে। এর সাথে জেলা শাসক, মহকুমাশাসক ও বিডিওদের মিড ডে মিলের তত্বাবধান করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা শাসকদের মাসে পাঁচটি স্কুল, অতিরিক্ত জেলা শাসক ও মহকুমাশাসকদের দশটি এবং বিডিও ও স্কুল পরিদর্শকদের কুড়িটি স্কুল পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। প্রতিটি স্কুলে রান্নাঘর, খাওয়ার জায়গা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে কিনা তাও অতি সত্বর জানানোর কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকাতে। এছাড়া মিড ডে মিলের মান যথাযথ কিনা তা নজরে রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ১১৬৪। হাই স্কুল ও জুনিয়র হাই স্কুল রয়েছে ৩৪৯টি। এছাড়াও রয়েছে শিশুশিক্ষা কেন্দ্র ও মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র। অধিকাংশ স্কুলেরই দাবী মিড ডে মিলের রিপোর্ট এস এম এসে পাঠাতেই সুবিধা বেশি। অ্যাপের ব্যবহারে স্কুল কর্তৃপক্ষ এখনো সড়গড় নয়। মিড ডে মিল সংক্রান্ত অ্যাপস আগেই চালু করা হয়েছিল। কিন্তু বেশিরভাগ স্কুলই এই কারনে এতদিন তা ব্যবহার করত না। এখন সেই অ্যাপ কেই আপডেট করে প্রতিটি স্কুলকে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হল। এতদিন মিড ডে মিল নিয়ে বারেবারেই নানা রকমের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ছিল খাবার নিম্নমানের, রান্নার অপরিচ্ছন্নতা, ঠিকমতো স্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন না করা, পানীয় জলের দূষণ ইত্যাদি। এর সাথে চাল ডাল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ, খাতায় কলমে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো এসব তো ছিলই।তাই মিড ডে মিলের স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই উদ্যোগ বলে মত প্রশাসনিক কর্তাদের।