একরাতের বৃষ্টিতেই বানারহাট ও বিন্নাগুড়ি কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি
অঙ্কিতা সেন (টী.এন.আই বানারহাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, বানারহাট, ১৭ই জুন, ২০১৮: মাত্র একরাতেরপ্রবল বৃষ্টিতেইবানারহাট ও বিন্নাগুড়িতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হল।শনিবার মধ্যরাত থেকে জলবন্দী অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়লেন বানারহাটের ইউ.বি.আই. রোড, শান্তিপাড়া, হাসপাতাল পাড়া, বিন্নাগুড়ির নেতাজী পাড়া, বিন্নাগুড়ি বাজার ইত্যাদি এলাকার শতাধিক পরিবার। স্বাভাবিক ভাবেই বিনিদ্র রাত কাটানো বাসিন্দাদের মনে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার মধ্যরাত থেকেই শুরু হয় প্রবল বর্ষণ। আর তার জেরেই ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা জল বানারহাটের বুক চিরে বয়ে যাওয়া উমেশ খাল (হাতিনালা) এর দুকুল ছাপিয়ে দেয়।
জলমগ্ন হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা। জল জমে বানারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গোটা স্বাস্থ্য কেন্দ্র চত্ত্বর জলমগ্ন হয়ে পড়ায় একদিকে রোগীরা যেমন চিকিৎসা করাতে যেতে পারছেন না অন্যদিকে ডাক্তার ও অন্যান্য কর্মীদেরও হাঁটুজল পেরিয়ে চিকিৎসা পরিসেবা স্বাভাবিক রাখতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, রাত আনুমানিক দেড়টা নাগাদ হাতিনালার দুকুল ছাপিয়ে লোকালয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। রাত তিনতে নাগাদ পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করে। এই এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতেই ঘরে হাঁটুজল দাঁড়িয়ে যায়। বিনিদ্র বাসিন্দারা সকলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন মেঝেয় রাখা জিনিসপত্র উপরে তুলতে। এলাকার রাস্তাগুলি রীতিমতো নদীর আকার ধারণ করেছে।এই খালের জলেই প্লাবিত হয়েছে পার্শ্ববর্তী শহর বিন্নাগুড়ির ও বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রতিবছর একই পরিস্থিতি তৈরী হওয়ায় সংবাদ মাধ্যমের কাছে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাসিন্দারা। সকলেই চাইছেন এর স্থায়ী সমাধান।
ছবি: অঙ্কিতা সেন (টী.এন.আই)