ট্রেনেই মৃত্যু: ট্রেন থেকে নামানোর পর ঘন্টা পর ঘন্টা দেহ জলপাইগুড়ির ষ্টেশন প্ল্যাটফর্মে
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই জলপাইগুড়ি ১৪ই জানুয়ারি ২০১৮: চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে ট্রেনেই মৃত্যু এক ব্যক্তির। ট্রেন থেকে নেমে যাওয়ার পর ঘন্টার পর ঘন্টা মৃতদেহ নিয়ে প্ল্যাটফর্মে বসেই কাটাতে হল মৃতের স্ত্রী এবং ভাইপোকে।ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকালে ধুপগুড়ি রেলওয়ে স্টেশনে।মৃতের নাম আব্দুল লতিফ আহমেদ। তিনি অসমের বরপেটা রোড এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে সোমবার সকালে ডাউন কামরুপ এক্সপ্রেসে বরপেটা রোড থেকে শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিলেন এই পরিবার লতিফ আহমেদের চিকিৎসার জন্য। তার শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ ছিল। এদিন কোঁচবিহার স্টেশন পার হতেই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে তিনি। এরপর ফালাকাটা স্টেশন পার হতেই দেখা যায় লতিফ আহমেদের শারীরিক অবস্থা অবনতির পথে।এরপর ধুপগুড়ি স্টেশন ঢোকার আগেই মৃত্যু হয় তার। বেলা ৪.১৬ নাগাদ ডাউন কামরুপ ধুপগুড়ি স্টেশনে ঢুকলে মৃতদেহ নিয়ে নামতে হয় মৃতের পরিবারকে। এরপর দিশাহীন অবস্থার মুখে পড়ে মৃতের পরিবার। ঘন্টার পর ঘন্টা দেহ নিয়ে প্ল্যাটফর্মে বসে থাকলেও দেখা মেলেনি জি.আর.পি বা রেল পুলিশের। মেলেনি রেল কর্মীদের দেখা। সহযোগিতা না মেলায় স্থানীয়দের চেষ্টায় সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি জানালে নড়ে চড়ে বসেন রেল কর্তৃপক্ষ। আর.পি.এফ এবং জি.আর.পি পক্ষ থেকে ডাকা হয় অ্যাম্বুল্যান্স। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দেহটি উদ্ধার করে ধুপগুড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃতের ভাইপোর দাবি ট্রেনে থাকা কালীন মৃত্যু হয় কাকার। চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎই মাঝপথে অসুস্থতা বোধ করে। কিছুক্ষনের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। এই স্টেশনে নামানো পর কেউ এগিয়ে আসেনি। এছাড়াও যে স্টেশনে নেমেছি সেখানকার এলাকা কিছুই আমাদের চেনা জানা নেই। কোথায় যাব কি করব। এদিন বিকাল পাঁচটা নাগাদ এই স্টেশনে রুটিন স্টপেজে দাঁড়িয়ে যাওয়া উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের এক যাত্রীও নেমে গিয়ে মানবিকতার স্বার্থে জি.আর.পি এবং স্টেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যান।কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ঘটনায় তিনিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যদিও ধুপগুড়ি স্টেশন মাস্টার অমিত কুমার বলেন, খবর পেয়েছি, রেল কর্মীরা দেখে এসেছে। জি.আর.পি কে বলা হয়েছে এবং দেহ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
ছবিঃ সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই)