ইসলামপুরের পরিবহন দপ্তরে চালু হলো হেল্প ডেস্ক
দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ইসলামপুর ২রা জানুয়ারি ২০১৮: গ্রাহকদের সুবিধার্থে নতুন বছরের শুরুতেই ইসলামপুরের আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তরে চালু হল হেল্পডেস্ক। মঙ্গলবার এই ডেস্কের উদ্বোধন করেন মহকুমা শাসক শেরিং ওয়াই ভুটিয়া। এটি চালু হওয়ায় দপ্তরে এসে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবে গ্রাহকরা। এতে দালাল রাজের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। রাজ্য পরিবহন দপ্তর থেকে এই ডেস্ক চালু করার নির্দেশ এসেছে সম্প্রতি। মঙ্গলবার চালু হল এই পরিষেবা। এ.আর.টি.ও হিসায় (HISAY) থেন্ডুপ ভুটিয়া বলেন, রাজ্য পরিবহন দপ্তর থেকে এবিষয়ে নির্দেশ এসেছে হেল্প ডেস্ক করার। দপ্তরের একটি কক্ষেই এটি চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এদিন তা চালু হল।দপ্তরে বিভিন্ন প্রয়োজনে আসা মানুষদের হেল্পডেস্কের কর্মী যেকোন বিষয়ে সঠিক তথ্য জানিয়ে সহায়তা করবে।যেকোন ব্যাক্তি সরাসরি অফিসে আসলে কাজ করে দেওয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন পরিবহন দপ্তরে হেল্প ডেস্ক রয়েছে। কিন্তু ইসলামপুরের অফিসে এধরনের কোন ব্যাবস্থা নেই। সেই সঙ্গে গ্রামাঞ্চলের মানুষদের অসচেতনতার কারনে এক শ্রেনির দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা লাইসেন্স তৈরি করে দেওয়ার কাজ করছে। অনেকেই জানেনা কেন লাইসেন্স কিংবা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, সহ অন্যান্ন কাজের জন্য কত খরচ হয়, কিংবা কোন ফর্ম কি হবে পূরন করতে হয়। গ্রামাঞ্চলে দালালেরা স্থানীয়দের কাছ থেকে দুই তিন গুন বেশি টাকা নিয়ে কাজ গুলি করিয়ে দেয়। এর জন্য প্রয়োজনীয় ফর্ম পূরন করা সহ অফিসের যাবতীয় কাজ তারাই করে দেয়।তাদের দাবী মতন টাকা না দিলে নির্দিষ্ট সময়ে লাইসেন্স তৈরি হয়না বলেও অভিযোগ। এ.আর.টি.ও অফিসে বহিরাগতরা উপভোক্তাদের বুঝিয়ে প্রয়োজনিয় কাগজ পত্র ও টাকা নিয়ে কাজ করে দেয়। হেল্পডেস্ক চালু হওয়ায় দালাল চক্র বন্ধ হবে বলেই স্থানীয়দের দাবী। লার্নার লাইসেন্সের জন্য আবেদন, লাইসেন্স রিনিউ করা,গাড়ির ওনারসীপ পরিবর্তন করা,লাইসেন্সে ঠিকানা পরিবর্তন, স্পেশাল ট্যাক্স সহ অন্যন্য কাজগুলি করতে কোন কাউন্টারে যেতে হবে,কোন ফর্ম ফিলাপ করতে হবে, কত টাকা জমা করতে হবে, কত টাকার ফাইন কাটতে হবে, হেল্প ডেস্কেই সমস্ত তথ্য জানতে পারবে সাধারন মানুষ। তারা নিজেরাই নিজেদের কাজগুলি করিয়ে নিতে পারবে। সেদিক থেকে প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকার মানুষজন।
ছবিঃ দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই)