শীতের মরশুমে নদীর চরে বোরো ধান চাষে এগিয়ে মেখলীগঞ্জ

স্বপন রায় বীর (টি.এন.আই মেখলীগঞ্জ)। টি.এন.আই সম্পাদনা জলপাইগুড়ি

বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, মেখলীগঞ্জ, ২৯শে নভেম্বর ২০১৮: শীতের শুরু, রবি শস্য চাষে ব্যস্ত উত্তরের কৃষিকাজ৷ উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের  বাণিজ্যিক রবি ফসলের মধ্যে অন্যতম হল আলু ,তামাক ৷এর মধ্যে আর একটি ফসল হল বোরো ধান৷ যদি এই ধান চাষ রবি ফসল ও নয় আবারও খারিফ শস্য নয়৷ এটি একটি সেচন কৃষি৷ কোন রূপ বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর না করে শুধুমাত্র সেচ দিয়ে চাষ করা হয়৷ মূলত অনিত্যবহ নদী ,বড় বিল ,পুকুরের চারপাশে জমি সাজিয়ে চাষ করা হয়৷ বর্তমানে উন্নয়ন ধানের বীজ কৃষকের হাতে আসায় ফলন বেড়েছে দুইগুণ বেশি৷ এই সময়ে মূলত ধানের বীজ বীজতলায় ফেলা হচ্ছে ,কোথাও জমি এবং মাটি বিশেষে একটু দেরিতে ধানের বীজ বীজতলায় ফেলা হয়৷ কুচবিহারের মেখলীগঞ্জের বিভিন্ন ছোট বড় অনিত্যবহ নদীর চড়ে বা যেখানে কিছুটা জল থাকে সেসব জায়গায় চাষ করা হয় এই বোরোধান৷ যদি অতিমাত্রায় সেচ চালিয়ে উঁচু জমিতেও বর্তমানে চাষ করা হয়েছে এই ধান৷ আমন ধানের তুলনায় অধিক ফলন শীল ঐ ধানের চাষে অগ্রগতি দেখা যায় মেখলীগঞ্জের নিজতরফ, বাঘডকরাফুলকাডাবরি প্রভৃতি সানিয়াজান নদীর অববাহিকায়৷ একই সঙ্গে ,জামালদহের দাঁড়িকামারি ,সালবাড়ি এলাকায় সংলি নদীর ছোট অববাহিকায় বোরো ধানের চাষ ব্যাপক ভাবে চাষ হয়৷ এই দুটি ছোট অনিত্যবহ নদী ছাড়াও ছোট ছোট নালা এবং নদীর ধরে রাখা জলের প্রাপ্যতার ওপর নির্ভর করে পাশে একটু উঁচু জমিতে চাষ হয় উচ্চ-ফলনশীল এই বোরো ধান৷ সূত্রে জানা গেছে ধান চাষিরা মূলত নিজেরাই এই চাষের বিষয়ে দক্ষ ৷ তবে, সরকারি সহযোগিতা পেলে আরও বেশি মাত্রায় চাষ করতে পারবে বলে জানান৷ নিজতরফ এলাকায় এক চাষি সরেন বর্মণ জানান শীত শুরু হতেই এখন নদীতে জল নেই বললে চলে, কিন্তু বর্ষায় সময় যে পলি চাপা পরে সেই জমি গুলোতে চাষ করি৷ কোন রূপ রাসায়নিক সার ব্যবহার না করেই বিঘা প্রতি ৩০থেকে ৩৫ মন ধান ফলে৷

ছবি: স্বপন রায় বীর  (টি.এন.আই)

 

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!