আমেরিকায় নিউ জার্সির প্রবাসী বাঙালিরা ব্রতী হলো মাতৃবন্দনায়

এসো শারদলক্ষী তোমার শুভ্র মেঘের রথে, শ্যামল আলো ঝলমল বন গিরিপর্বতে-
মুকুটে পরিয়া স্বেতশতদল শীতল-শিশির-ঢালা;
বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ আমরা গেঁথেছি শেফালিমালা।

বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, নিউ জার্সি (ইউ.এস), ১লা নভেম্বর, ২০১৮: ইন্ডিয়ান কমিউনিটি সেন্টার (আইসিসি) অফ গার্ডেন স্টেট প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ২৮শে ও ২৯শে অক্টোবর দূর্গাপূজার আয়োজন করেছিল পারসিপ্পানি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। প্রবাসে সমস্ত বাঙালিরা একত্রিত হয়ে এই দু’দিনের মেতে উঠেন মাতৃবন্দনায়।

তবে এখানে একটি বৈশিষ্ট্য বর্তমান, তা হল মায়ের পুনর্নবীকরণ হয়, এবং শাস্ত্রমতে দর্পে বিসর্জন হয়। ভারতবর্ষ থেকে প্রতিমা নেওয়া হয়েছিল। ২৭শে অক্টোবর, শনিবার রাতে প্রতিমা স্থাপন তথা সমস্ত সাজ সরঞ্জাম করা হয়েছিল এবং ২৮শে অক্টোবর, রবিবার প্রাতে সকলে মিলে একসাথে পুজোর প্রস্তুতি করেন, বেলা গড়িয়ে এলে ঠাকুরমশাই মায়ের বোধনের মাধ্যমে পুজো প্রারম্ভ করেন, ধীরে ধীরে সপ্তমীর পুজো, তদপশ্চাৎ অষ্টমীর পুজো তদনন্তর পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ এবং মহানবমীর পুজো ও দর্প বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সেদিনের আরাধনা। তারপর বিলি হল পুজোর ভোগ।

মাতৃবন্দনাকে কেন্দ্র করে বসেছিল নানান দ্রব্যাদির স্টল, যাঁর মধ্যে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল বাঙালি খাবারের ও শাড়ির স্টলদ্বয়। সেই খাবারের স্টলে পিঠে পুলি থেকে শুরু করে পায়েস, পাটিসাপটা, নলেন গুড়ের রসগোল্লার মতো লোভনীয় খাবার ছিল। এছাড়া ছিল চিকেন এগরোল, ভেজিটেবল চপ নানান ধরনের সুস্বাদু বাঙালিপ্রিয় খাবারও।

প্রসাদ বিতরণের পর, ছোটদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল এবং উমা চলচ্চিত্র দেখানো হয়েছিল। এদিন মধ্যাহ্নভোজের পর সব মহিলারা মিলে সিঁদুর খেলায় মেতেছিলেন এবং সন্ধ্যেবেলায় স্থানীয় শিল্পীদের দ্বারা সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছিল এবং জিমূত রায়ের প্রদর্শনীর মাধ্যমে পূজানুষ্ঠানের সামগ্রিক সমাপ্তি হয় এই আশা নিয়ে যে পরের বছর আরো বেশি হইহুল্লোরের মধ্য দিয়ে মায়ের আগমনের হবে।

নিউ জার্সির আইসিসির সভাপতি শ্রীমতি অর্পিতা গুপ্তা টি.এন.আইকে জানান, “গোটা বিশ্বকে জানাই শুভ শারদীয়ার আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, সাথে শুভ বিজয়া। আমাদের এই সংস্থা সর্বদাই প্রস্তুত থাকে প্রতিটি বাঙালি উৎসবকে চিরহরিৎ ও উদ্যমতার সাথে উদযাপন করতে এবং এই অছিলায় সকলের একত্রিত ও সম্মিলিত সমাবেশের মধ্য দিয়ে চেষ্টা করা হয় এক খুশির বাতাবরণের সৃষ্টির।”

প্রতিবেদনঃ ভাস্কর চক্রবর্তী (টি.এন.আই)

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!